শিক্ষা, চিকিৎসা, অফিস, গেমিং  কিংবা বিনোদন ক্ষেত্রে  ল্যাপটপ একটি অপরিহার্য বিষয়। বিশেষ করে, অনলাইন গেমিং, ডিজিটাল অনলাইনে বা অফিসে কাজের ক্ষেত্রে ল্যাপটপ এর চাহিদা দিনদিন বেড়েই চলেছে। কিন্তু বাজারে অনেক ল্যাপটপের মধ্যে ভালো ল্যাপটপ ব্রান্ড চিনা অনেক কঠিন হয়ে পড়েছে ।তাই ভালো ল্যাপটপ কেনার আগে কিছু  গুরত্বপূর্ন বিষয় বিবেচনা করা দরকার, তা নিচে দেওয়া হলোঃ



১) কাজের ধরন ঠিক করেনঃ


 প্রথমে আপনার ঠিক করতে হবে, আপনি ল্যাপটপ দিয়ে কী ধরনের  কাজ করবেন। কারণ আপনার ব্যবহার অনুযায়ী ল্যাপটার ভিন্ন হতে পারে।


পড়াশোনা বা অফিসের জন্য: 


HP 143, lenovo idea pads ইত্যাদি ল্যাপটপ পড়াশোনা বা ছোটখাটো কাজের জন্য এই ল্যাপটপগুলো ভালো। পড়াশোনার  জন্য ৪০ হাজার বা ৬০ হাজারের মধ্যে ভালো অন্যন্যা ব্রান্ডের ল্যাপটপ বাজারে পাওয়া যায়।


গেমিং: 


গেমিং করার জন্য আপনার Asus Rog, Acer Predatar এর মতো ভারী ল্যাপটপ দরকার। আপনি বর্তমানে ৬০ হাজার থেকে ১ লক্ষ ৫০ হাজারের মধ্যে ভালো গেমিং ল্যাপটপ পাবেন।


ভিডিও  ইডিটর বা কনন্টেন্ট ক্রিয়েটরদের জন্য:


 আপনি যদি চান ভিডিও ইডিট বা কিছু ডিজাইন করার জন্য, তাহলে আপনার জন্য সবচেয়ে ভালো হবে macBook Pro বা Dell XPS.



২) অপারেটিং সিস্টেম বাছাইঃ


বর্তমানে তিনটি বহুল জনপ্রিয় অপারেটিং সিস্টেম হলো, windows, macos এবং Chrome OS.


windows: বিশ্বের সবথেকে ব্যবহৃত জনপ্রিয় আপারেটিং সিস্টেম। আপনি windows সব রেন্জে পেয়ে যাবেন।



macOS: শুধু অ্যাপল ল্যাপটপে এই অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহৃত হয়। দাম বেশি হলেও সৃজনশীল মানের দিক থেকে অন্যান্য ব্রান্ড থেকে আলাদা।


chrome OS: এই অপারেটিং সিস্টেমটিতে ফিচার সীমিত হওয়াই, শিক্ষার্থীদের  জন্য অনেক উপযোগী। ৩০-৬০ হাজারের মধ্যেই পাওয়া যায়।




৩)Hardware specification দেখে নিন:


CPU: Central Processing Unit যদি ল্যাপটপটি  সাধারণ কাজে ব্যবহার করেন তাহলে intel i3 বা  Ryzene 3  যথেষ্ট আর যদি গেমিং বা-ভারী ডিজাইন কাজের জন্য Intel i5/i7 বা Ryzene 5/7 দরকার।


RAM: সাধারন কাজের জন্য নুন্যতম ৮ জিবি আর ভারী কাজের জন্য ১৬জিবি বা তার বেশি হতে পারে।


Storage: আপনার ল্যাপটপটি বেশি Storage হলে দ্রুতগতির হবে। তাই storage  বেশি সমৃদ্ধ ল্যাপটপ কেনার চেষ্টা করুন।


ডিসপ্লেঃ ল্যাপটপের জন্য Full HD যথেষ্ট । তবে গেমিং বা ডিজাইনের জন্য 4k স্কিন ভালো।



৪)ব্যাটারি:


অনলাইন ক্লাস বা ছোটখাটো কাজের  জন্য দীর্ঘ মেয়াদি ব্যাটারি ব্যাকআপ দরকার। বাজেট ল্যাপটপে ৬-৮ ঘন্টা  ব্যাটারি ব্যাকআপ পাওয়া যায়। কিন্তু ম্যাকবুকে বা আল্টাবুকে ১২-১৮ ঘন্টা ব্যাটারি ব্যাকআপ পাওয়া যায়।




Leave a Comment